Uncategorized

৬ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে চিনিকলের আগুন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম সুগার মিলে লাগা আগুন ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশনের ১৩ ইউনিট। তাদের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দল। তবে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্যারটেক এলাকায় অবস্থিত চিনিকলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিট। পরে যোগ দেয় নৌবাহিনীর একটি দলও। রাত নয়টার দিকে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর একটি দলও।

তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলে এই চিনিকলে আগুন লাগে, যা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জ্বলছে। এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ চিনি পুড়ে গেছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যাবে আগুন নেভানোর পর। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনে লেগেছে বলে ধারণা করছেন চিনিকলটির কর্মকর্তারা। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও চিনিকলের কর্মকর্তারা জানান, এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্ণফুলী নদীর পাড়ে মইজ্যারটেক এলাকায় অবস্থিত। এখানে চিনিকলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে আমদানি করা অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনি রাখা ছিল। আগুনের তীব্রতা বাড়ায় পুরো গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পাশের পাঁচটি গোডাউনে এখনও আগুন ছড়ায়নি।

এদিকে, আগুন লাগা গোডাউনের পাশেই কর্ণফুলী নদী। সেখানে নোঙর করা আছে অনেক লাইটারেজ জাহাজ। কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি টাগবোট উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো কর্ণফুলী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলা জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেফতার ও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content