আজকের সর্বশেষ খবর

গর্ভাবস্থায় যেসব ভুল নয়

গর্ভাবস্থায় যেসব ভুল নয়

গর্ভাবস্থায় সবাই কমবেশি সতর্ক থাকেন। এসময় কিছু ভ্রান্ত ধারণা বা নিয়মও মায়েরা মেনে চলেন। সন্তানের মঙ্গলচিন্তা থেকেই এসব ভাবনার উৎপত্তি। কিন্তু এগুলো পালন করে আদৌ কতটা লাভ হয় জানা নেই। উলটো এতে ক্ষতি হতে পারে। এসকল নিয়মের ফলে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে। এছাড়া স্বাস্থ্যের ওপর চাপ পড়ে। যেমন:

দুজনের মাপে খাবার খাবেন
এতদিনকার অভ্যাস ছেড়ে দ্বিগুণ খাওয়ার অভ্যাস করাটা একদমই অসম্ভব। তাও নাকেমুখে গুজে অনেকে খেয়ে থাকেন। এতে লাভ হয় না। ভ্রুণের অত খাবার লাগে না। মূলত মায়ের দেহের অতিরিক্ত খাদ্য উপাদান ভ্রুণকে বাড়তে সাহায্য করে৷ গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস আগের মাপেই খান। তবে চেষ্টা করবেন খাবারে ২৫০-৩০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করতে। দুধ, কলা আর সিরিয়াল দিয়েই অনেকটুকু ঘাটতি মিটিয়ে নেওয়া যায়।

পরামর্শ ছাড়াই ছোটখাটো ঔষধ সেবন
আমাদের অভ্যাস সমস্যা খুব বড় না হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হই না। তাই ছোটখাটো ওষুধ এমনিতেই খাওয়া যায়। এটা ভুলেও করবেন না। কারণ অনেক সময় ছোটখাটো ঔষধ জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করে৷

যতটুকু পারা যায় কাজ এগিয়ে রাখা
গর্ভাবস্থায় শরীর ভীষণ ক্লান্ত থাকে। তাই অনেকেই ভাবেন আমি যেহেতু তেমন কিছু করতে পারছি না তাই যতটুকু পারি কাজ এগিয়ে রাখি। এমনটা ভুলেও করবেন না। চেষ্টা করবেন ঘুমটা যেন ঠিক থাকে। নাহলে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে।

শুয়ে বসে আরাম করার ভাবনা
এই সময় ভারি কাজ তো করা যাবে না সেটা আমরাও মানি। কিন্তু একেবারে অকেজো হয়ে বসে থাকার প্রয়োজন নেই। গর্ভাবস্থায় অনেক ব্যায়াম করা যায়। এছাড়া একটু হাঁটাহাটির অভ্যাস গড়ে নিতে হবে। এতে গর্ভে থাকা সন্তানের বৃদ্ধিও ভালো হবে। আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

রুচি নয় বরং স্বাস্থ্যকর খাবার
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি খাওয়া বাদ দেওয়াই ভালো। এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। শরীরে মেদ জমতে পারে৷ তবে একেবারেই নিজের পছন্দের খাবার বাদ দেওয়াটাও ঠিক নয়। মিষ্টি খাওয়ার তীব্র ইচ্ছে হলে মিষ্টির পরিপূরক কোনো ফল খেতে পারেন। কিসমিস, আখরোট এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। তবে একজন খাদ্য ও পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করলে ভালো হয়৷

আরও খবর

Sponsered content