সারাদেশ

বাবাকে হত্যার পর থানায় মেয়ের জিডি

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারু মিয়া নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ও মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। শনিবার (৪ মে) ভোর রাতে জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম (৫২), তার মেয়ে তানজিদা আক্তার (৩০) এবং চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর বড়বাড়ি এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সুমন (৪৫)। নিহত তারু মিয়া (৬২) বড়হাটি এলাকার চিনু মিয়ার ছেলে। তিনি বুধল বাজারে ছোট একটি দোকানে পান-সিগারেটের ব্যবসা করতেন।

জানা যায়, তারু মিয়া অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করতেন তার মেয়ে তানজিনা আক্তার। এ নিয়ে প্রায়ই তার সঙ্গে তার স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া হতো। ক্ষোভ থেকে তানজিনা আক্তার তার বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল (বুধবার) রাতে তানজিনা তার বাবার খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে তারু মিয়ার মেয়ে, তার স্ত্রী ও আসামি সুমনসহ আরও কয়েকজন মিলে গত ২৪ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়াকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাড়ির পাশে ডোবার মধ্যে থাকা ঝোঁপে মরদেহ লুকিয়ে রাখে তারা।

পরের দিন, তার মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৮ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির পাশে ডোবায় তারু মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় ডোবা থেকে তারু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল মো. বিল্লাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তারু মিয়ার মেয়ে তানজিদা আক্তারকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যমতে তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content