জাতীয়

উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশ মানতে চাইছেন না আ. লীগের মন্ত্রী-এমপিরা

তাওহীদ মিথুন:

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এমনকি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেবে না ক্ষমতাসীন দলটি। আগ্রহী প্রার্থীরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। কেউ সরাসরি আবার কেউ-বা গোপনে আত্মীয়-স্বজনকে মাঠে নামিয়েছেন।

এতে ক্ষুদ্ধ সাধারণ প্রার্থীরা বলছেন, এমন হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এছাড়া দুই দফায় ভোটের তফসিল ঘোষণাকে ঘিরেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে, দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এ নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বৈঠক চলছে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভূমিকা না রাখতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি নির্দেশনাও পাঠিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। কারণ, প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা চাই নির্বাচন সুন্দরভাবে পরিচালিত হোক। যাতে মানুষ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়ের ঊধ্বে উঠে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।

এ বিষয়ে দলটির প্রেসিয়াডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মন্ত্রী-এমপিদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কেউ যদি কোনো একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান করে, তাহলে বাকি প্রার্থীরা তার বিরাগভাজন হবে। এই সুযোগটি করে দেয়া উচিত নয়। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, সংসদ সদস্যরা যদি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে তার ভবিষ্যৎ রাজনীতি হুমকির মুখে পড়বে। তাছাটা এটি ওই সংসদ সদস্যদের জন্য বুমেরাং হবে।

দলটির একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার কোনো কোনো সদস্যের বিরুদ্ধেও পছন্দের প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব তথ্য দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়মিত অবগত করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content